Crypto-currency কি? Cryptocurrency Definition বিস্তারিত জেনে নিন!!
Crypto-currency কি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো একধরনের ডিজিটাল মুদ্রা বা অর্থ যা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি একটি উন্নয়নশীল নিরাপদ প্রযুক্তি যা কম্পিউটার সিস্টেমকে ডেটা এনক্রিপ্ট করে দেয় যাতে যে কেউ ডেটা পড়তে পারে না বা ডেটা আরও সেভ হওয়ার জন্য একটি সুরক্ষিত চিঠি দিয়ে না পারে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডিসট্রিবিউটেড লেজার ব্যবহার করে এবং এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রধান উদ্দেশ্য হলো একটি স্থায়ী এবং নিরাপদ মুদ্রা হিসাবে পরিচয় করা যাতে ডিজিটাল অর্থ সম্পদ পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি সমন্ধে একটু বিস্তারিত ধারণা-
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ক্রিপ্টোমুদ্রা ডিজিটাল মুদ্রা হলো, যা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি একটি নিরাপদ প্রযুক্তি, যা কম্পিউটার সিস্টেমকে ডেটা এনক্রিপ্ট করে দেয় যাতে যে কেউ ডেটা পড়তে পারে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার ব্যবহার করে এবং এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। এটি একটি পাবলিক লেজার সিস্টেম, যা মানে হলো এটি একটি পাবলিক ডাটাবেস যা নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটারে উপস্থিত থাকে। এটি একটি ডিসট্রিবিউটেড লেজার সিস্টেম, যা মানে হলো ডেটা সংরক্ষণ এবং সম্পাদনা একটি সেন্ট্রালাইজড সার্ভারে না বরং নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকে।
ক্রিপ্টোকরেন্সি লেনাদেনা-
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন হলো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে কোন লেনদেন সম্পন্ন করা। ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন একটি ডিজিটাল লেনদেন পদ্ধতি, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে। এটি ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপদ হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সাধারণত পাবলিক লেজার সিস্টেমে হয়, তাই সেই লেজারে সমস্ত লেনদেন রেকর্ড করা থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সাধারণত একটি ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমে হয়, যা মানে হল সে সমস্ত কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে উপস্থিত থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট খুলতে হবে যা আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণ করে রাখবে।
বিটকয়েন ছাড়াও কি ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে?
হ্যাঁ, বিটকয়েন ছাড়াও বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। বিটকয়েন সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করে এই শক্তিশালী ব্লকচেইন প্রযুক্তি ক্রিপ্টোকারেন্সি এর জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। নিম্নোক্ত কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি উল্লেখযোগ্যঃ
- এথেরিয়াম (Ethereum)
- বিটকয়াশ (Bitcoin Cash)
- লাইটকয়াশ (Litecoin)
- রিপল (Ripple)
- কার্ডানো (Cardano)
- পলকাডট (Polkadot)
- স্টেলার (Stellar)
- ডজেক (Dogecoin)
- বিনান্স কয়েন (Binance Coin)
- টেথার (Tether)
এছাড়াও আরও অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে যা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি দেশগুলোর মুদ্রার মতো ব্যবহৃত হয়, আর কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস-
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা সিংক্রোনাস ডিজিটাল কারেন্সির জন্ম একটি পরিচালনায় হয়। ২০০৮ সালে, একজন ব্যক্তি বিশ্বাস করেন যে সিস্টেমে বিনামূল্যে টাকা পাঠানো হয়ে যায় এবং এই প্রক্রিয়াটি ব্লকচেইন নামক একটি প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব। তার দ্বারা বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন তৈরি হয়।
বিটকয়েন প্রথমে সার্বিক নোটরি নির্মাণ করে এবং ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘমেয়াদী লেনদেনের জন্য সুরক্ষিত একটি প্রযুক্তি সরবরাহ করা। এটি পুরোপুরি ডিসট্রিবিউটেড সিস্টেম ছিল, যার মাধ্যমে লেনদেনগুলি পরিচালিত এবং সম্পূর্ণ লোকালি সংরক্ষিত থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এর কিছু বৈশিষ্ট্যঃ
ক্রিপ্টোকারেন্সির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
১। সিকিউরিটি: ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সিকিউর লেনদেন প্রদান করে। প্রত্যেক লেনদেন একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সম্পূর্ণ সংরক্ষিত হয়।
২। অবাকজনক স্থায়ীত্ব: ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়, এবং এটি সম্পূর্ণ ডিসট্রিবিউটেড সিস্টেম হওয়ার কারণে এটি একটি অবাকজনক স্থায়ীত্ব সরবরাহ করে।
৩। পূর্ববর্তী লেনদেনের সারসংক্ষেপ: ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনগুলি ব্লকচেইনে সংরক্ষিত হয় এবং এটি পূর্ববর্তী লেনদেনের সারসংক্ষেপ সংরক্ষণ করে রাখে।
৪। অপরিহার্য: ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন একবার হলে তা পরিবর্তন করা অসম্ভব।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন এর পদ্ধতিঃ
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদান করা হয়। ব্লকচেইন হল একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা একটি লেডজার হিসেবে কাজ করে এবং সমস্ত লেনদেনগুলি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত রয়েছে। একটি লেনদেনের তথ্য একটি ব্লক হিসেবে জানানো হয় এবং একটি লেনদেন সম্পূর্ণ হলে সেই ব্লকটি ব্লকচেইনে যোগ করা হয়। সমস্ত ব্লকগুলি একত্রে করে সে ব্লকচেইন তৈরি করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের পদ্ধতি প্রক্রিয়াটি একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। একজন ব্যবহারকারী ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার জন্য একটি ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করে এবং একটি লেনদেন আরম্ভ করার আগে তার ডিজিটাল ওয়ালেটে কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা দিয়ে নিতে পারেন।
Crypto-currency ওয়ালেটঃ
ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট হল একটি ডিজিটাল মাধ্যম যা ব্যবহারকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণ এবং লেনদেন করতে সাহায্য করে। এই ওয়ালেট একটি পাবলিক কী এবং একটি প্রাইভেট কী ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে সাহায্য করে।
পাবলিক কী হল একটি স্ট্রিং যা কেবলমাত্র লেনদেন গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রাইভেট কী হল একটি সুরক্ষিত কী যা ব্যবহারকারীর ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে এবং কেবলমাত্র তার কাছে সংরক্ষিত থাকে। প্রাইভেট কী ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর সমস্ত লেনদেন সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষিত থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের সাথে ব্যবহারকারীদের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কোনও ব্যবহারকারী একটি নিরাপদ ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারে।
ব্লকচেইন (blockchain) হল একটি ডিসট্রিবিউটেড লেজার সিস্টেম, যেখানে ডেটা রাখা হয় বিভিন্ন ব্লকে এবং এই ব্লকগুলো একসাথে যুক্ত হয় একটি চেইনের মতো। প্রতিটি ব্লক একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশ দিয়ে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়, এবং একটি ব্লকের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করা হয় সাধারণত বিশ্বস্ত মাইনারদের কাছে।
মাইনিং (mining) হল ক্রিপ্টোকারেন্সি নেটওয়ার্কে ট্রানজেকশন যাচাই করার পদ্ধতি। এটি কম্পিউটার প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করে ট্রানজেকশনগুলো একত্রিত করে নতুন ব্লক তৈরি করে নেয়। মাইনাররা নতুন ব্লক তৈরি করতে কম্পিউটারের বিশেষ হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রসেসিং করে নতুন কয়েন তৈরি করে প্রফিট লাভ করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এর আদৌ কোনো মূল্য রয়েছে কি?
হ্যাঁ, ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মূল্য পরিবর্তিত হয় এবং এর মূল্য বিভিন্ন সময়কালে বেশি বা কম হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন সম্পূর্ণ বিপণন বা রেগুলেশন না থাকা, ব্যবহারকারীদের মতামতের পরিবর্তন, বিভিন্ন খবর এবং প্রচারণা ইত্যাদি।
সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য ব্লকচেইনের জন্য নির্ধারিত হয়, যেখানে সকল লেনদেন একটি পাবলিক লেজারে সংরক্ষিত হয়। ব্লকচেইন প্রযুক্তি দ্বারা সমস্ত লেনদেন ক্রিপ্টোগ্রাফিক সংরক্ষণ দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়, এবং একবার একটি ব্লক প্রমাণিত হলে তা মোছা বা পরিবর্তন করা যাবে না।
প্রতিটি ক্রিপ্টোকারেন্সির স্বতন্ত্র মূল্য হয় একটি বিশেষ বাজার দ্বারা নির্ধারিত বর্তমান মূল্যের উপর ভিত্তি করে।
বাংলাদেশের ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার এর নিয়মাবলী
বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়মাবলী বিষয়টি খুবই সংশ্লিষ্ট এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে অধিকাংশ মন্তব্যকারীর মধ্যে বিভিন্ন ধারণা ও অন্যায়ের বিষয়ে বিভিন্ন রয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থাপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রধানতম কাজ করে বাংলাদেশ সরকারকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সুরক্ষিত উপায় উপস্থাপন করবে। এছাড়াও প্যানেল সদস্যরা মূল্যস্থাপন প্রক্রিয়া, ট্রানজেকশন ও আর্থিক সংস্থার কাঠামো প্রস্তুত করবেন।
সতর্কবার্তা বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।বিডি বাংলার নিউজ ডট কম ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে কাউকে উৎসাহিত করে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি কেউ যদি ব্যবহার করে থাকেন সেটা নিজ দায়িত্বে করে থাকবেন বিডি বাংলার নিউজ ডটকম এর কোন দায়ভার নিবে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বাংলাদেশী আইন